বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে হু হু করে বাড়ছে অলস টাকার পরিমাণ

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে হু হু করে বাড়ছে অলস টাকার পরিমাণ

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকই এক বছর আগে তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছিল। তখন বেসরকারি ব্যাংকগুলো নগদ জমা সংরক্ষণের হার (সিআরআর) ও সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণেই হিমশিম খাচ্ছিল। এমনকি তারল্যের সংস্থান করতে বেশি সুদে অন্য ব্যাংকের আমানত বাগিয়ে নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল ব্যাংক কর্মকর্তারা। কিন্তু করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। এখন ব্যাংকগুলোতে রীতিমতো অলস তারল্যের জোয়ার বইছে। তারল্য সংকটের কারণে এক বছর আগে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে খরা ছিল। এখন ব্যাংকগুলোতে তারল্যের জোয়ার বইছে। ঋণের চাহিদা নেই। আবার নতুন বিনিয়োগের জন্য আবেদন এলেও বাড়তি সতর্কতার কারণে ব্যাংকাররা এ মুহূর্তে ঋণ দিতে চাইছে না। ফলে ব্যাংকগুলোতে হু হু করে বাড়ছে অলস টাকার পরিমাণ। ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,সর্বশেষ গত নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। আর জানুয়ারি শেষে ২ লাখ কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো আবাসন খাতে সুদ কমিয়ে ঋণ প্রদানের হার বাড়িয়ে দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত কর্মসংস্থান ব্যাংক বেকার ও অর্ধ বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকার ঋণ দিচ্ছে। ৮ শতাংশ সরল সুদে বেকার যুবক ও যুব নারীরা ওই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সুদের হার ৯ শতাংশে কার্যকর হওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলোর মধ্যে সুদ কমানোর এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিশেষ করে আবাসন ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আগের চেয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ব্যাংকের দেয়া ঋণের সুদহার সাড়ে ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। ইতিমধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এখন ৮ শতাংশ সুদে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আবাসন ঋণের গ্রাহকদের অর্থায়ন করছে। তবে নতুন ঋণ সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে দিচ্ছে। ব্যাংকটি শিগগির সুদের হার আরো দশমিক ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ব্যাংকট ‘ঠিকানা’ নামে আলাদা একটি ঋণ প্রকল্প চালু করেছে। শুধুমাত্র ডাচ্-বাংলা নয়, এখন সব ব্যাংকই আবাসন ঋণে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঋণ নিয়ে নতুন ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারছে। দেশে আবাসন ঋণের সুদহার কমিয়ে প্রথম বড় আলোচনায় আসে আইএফআইসি ব্যাংক। গ্রাহকরা আইএফআইসি ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি আবাসন ঋণ নিয়েছে। ব্যাংকটির ‘আমার বাড়ি’ নামে আলাদা একটি পণ্য রয়েছে। ওই ব্যাংক বাড়ি নির্মাণে ২ কোটি ও সেমিপাকা ভবন নির্মাণে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। আইএফআইসি ব্যাংকের দেখাদেখি অন্যান্য ব্যাংক আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ওই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। আবাসন খাতে ঋণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (লিজিং কোম্পানি) আগে থেকেই গ্রাহকের চাহিদামতো ঋণ দিতে পারছে। ফ্ল্যাট কেনা ও বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনও (বিএইচবিএফসি) ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। ফলে বাড়ি নির্মাণের জন্য একজন ব্যক্তি বিএইচবিএফসি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পারবে। আর গ্রুপ করে বা দলবদ্ধ হয়ে ঋণ নিলে প্রত্যেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা করে পাবে। তাছাড়া ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রেও একজন গ্রাহক ওই সংস্থা থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ পারবে। সূত্র আরো জানায়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বিতরণের পাশাপাশি ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়াটিও আগের চেয়ে অনেক সহজ করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানগুলোই ঋণ দিতে গ্রাহকের দ্বারে দ্বারে ছুটছে। ব্যাংক বা বিএইচবিএফসি থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে মোট দামের ৩০ শতাংশ টাকা নিজের থাকতে হয়। অর্থাৎ ১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনতে প্রতিষ্ঠানগুলো ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। বাকি ৩০ লাখ টাকা ক্রেতার নিজের থাকতে হয়। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাটের দামের পুরোটাই ঋণ হিসেবে দিতে পারে। তাছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোও আবাসন খাতে মনোযোগ দিচ্ছে। সোনালী ব্যাংক গ্রামাঞ্চলে বাড়ি নির্মাণে ‘সোনালী নীড়’ নামে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে। বাড়ি নির্মাণ ঋণের জন্য প্রথমেই দরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশার সত্যায়িত ফটোকপি, মূল দলিল, নামজারি খতিয়ান, খাজনা রসিদের সত্যায়িত ফটোকপি। তাছাড়া লাগবে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানের সত্যায়িত কপি। সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া জমির ক্ষেত্রে মূল বরাদ্দপত্র এবং দখল হস্তান্তরপত্রও লাগবে। তবে ফ্ল্যাট কেনার ঋণের জন্য অবশ্য কাগজপত্র কম লাগে। সেজন্য ফ্ল্যাট ক্রেতা এবং ডেভেলপারের সঙ্গে সম্পাদিত ফ্ল্যাট ক্রয়ে রেজিস্ট্রি করা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হয়। তাছাড়া জমির মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, অনুমোদিত নকশা ও অনুমোদনপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং ফ্ল্যাট কেনার রেজিস্ট্রি করা বায়না চুক্তিপত্রের মূল কপি এবং বরাদ্দপত্র লাগবে। অন্যদিকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য জামানত ছাড়াই ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে কর্মসংস্থান ব্যাংক। ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ নীতিমালা’র আওতায় বেকার যুবক ও যুব নারীরা ৮ শতাংশ সরল সুদে ওই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। পাঁচ বছরের জন্য ওই ঋণ দেয়া হচ্ছে। তবে ঋণ তারাই পাচ্ছে যাদের সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া আছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৪ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ নীতিমালার আওতায় বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭০০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা দিয়েছে। এদিকে প্রণোদনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির চিত্র নিয়ে অতিসম্প্রতি বৈঠক করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সেখানে কর্মসংস্থান ব্যাংক জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৬৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর ঋণ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭০২ জন। গড়ে একেকজন ঋণ পেয়েছেন দেড় লাখ টাকারও বেশি। মুজিববর্ষে ২ লাখ জনকে ঋণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। ব্যাংকটি জানিয়েছে, ঋণ পাওয়ার জন্য এক সময় অষ্টম শ্রেণি পাসকে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে তা পঞ্চম শ্রেণি পাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। ঋণ আবেদনকারীকে বেকার বা অর্ধ বেকার হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৪০ বছর পর্যন্ত বয়স শিথিলযোগ্য। তাছাড়া ঋণ পেতে হলে যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বিসিক, বিডা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ (এসডিএফ) অন্যান্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। অন্যথায় ঋণখেলাপিরা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে না। একই গ্রাহক বা গ্রুপ একাধিক প্রকল্পে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলেও বিবেচিত হবে না। তবে ৮ শতাংশ সরল সুদে ঋণ দেয়া হলেও কিস্তি খেলাপি হলে ওই সুদ নেয়া হবে ১০ শতাংশ হারে। অন্যদিকে অতিরিক্ত তারল্যের চাপ সামলাতে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে এনেছে। এক বছর আগেও যেখানে কোনো কোনো ব্যাংক ৮ শতাংশের বেশি সুদে তিন-ছয় মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করেছে। এখন তা ৩-৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তারপরও অতিরিক্ত তারল্যের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাংকারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তাতে বিনিয়োগ বা ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়াতে না পারলে অচিরেই ব্যাংক আমানতের সুদহার ১ থেকে ২ শতাংশে নেমে আসবে। এমন পরিস্থিতির কারণেই দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে সুদের হার কমিয়ে গ্রাহকদের দীর্ঘ মেয়াদে আবাসন ঋণ দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের আবেদন পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঋণ অনুমোদন দিচ্ছে। আবার কেউ নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ আবেদন নিষ্পত্তি করছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা জানান, ব্যাংকগুলো তারল্যে ভাসছে- এ কথা ঠিক নয়। অতিরিক্ত তারল্যের বড় অংশই সরকারি বন্ড। চাহিদার চেয়ে বেশি বন্ড কেনা হয়েছে। ঝুঁকিবিহীন আয় হিসেবে সরকারি বন্ডে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করছে। বেসরকারি খাতে ঋণ কম। ফলে অতি তারল্য বাড়ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ পণ্যের চাহিদা না বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। একই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা জানান, বেসরকারি খাত মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ ঋণ নিচ্ছে। যা শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে খরচ হচ্ছে। বিনিয়োগ নেই, কর্মসংস্থান নেই আর রাজস্ব ঘাটতি, সেজন্যই তারল্য বাড়ছে। সুদহার কমলেও বিনিয়োগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনা টিকা সহজলভ্য হলে অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com